করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি দারুণ ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে বুশফায়ার এবং করোনা প্রাদুর্ভাবে বছরের প্রথম তিন মাসে ০.৩ শতাংশ অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ বছরের মধ্যে প্রথম মন্দা শুরু হয়েছে।
শাটডাউন দেশটিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা এ নিয়ে তত্ত্বতালাশ করছেন। সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও এটিতে ধস নেমেছে।
সর্বশেষ জিডিপি পরিসংখ্যান এটি তুলে ধরছে যে দেশটির অর্থনীতি একটি ধ্বংসাত্মক বুশফায়ার এর মৌসুম থেকে লড়াই চালিয়ে আসছিলো। সেই সাথে ট্যুরিজমেও মন্দাভাব ছিল এবং ভাইরাসজনিত বিধিনিষেধ শুরুর আগেই দেশীয় চাহিদাও দুর্বল ছিল।
পরিসংখ্যান ব্যুরো এর চিফ ইকোনমিস্ট ব্রুস হকম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের সময়ে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের পরে এই প্রথম কোভিড -১৯ এর কারণে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক গতি কমে গেলো। বলা যায় এই কমাটা মাত্র শুরু হলো।
এদিকে অর্থনীতিকে সচল করার লক্ষ্যে মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক তার মূল সুদের হারকে রেকর্ড সর্বনিম্ন ০.২৫ শতাংশ এ নামিয়ে এনেছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বন্ড ক্রয় কর্মসূচিও চালু করেছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ফিলিপ বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতি একটি অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে এবং ১৯৩০ এর দশকের পর থেকে আমরা সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক সংকোচনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম।’
তবে, তিনি আশাবাদী হওয়ার মতো কথাও যোগ করেছেন এ সভায়। তিনি বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনৈতিক মন্দার গভীরতা প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে।’