কুমিল্লায় জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে মারা যাওয়া কেউ লাশ দাফন করতে আসেননি। ওই ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে সাররাত বসেছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা। এমতাবস্থায় মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর ওই লাশ দাফন করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। দেবীদ্বারে উপজেলা বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মারা যান আবুল হোসেন (৪৫)। তিনি কয়েক দিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন এবং ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃত আবুল বাগুর পশ্চিম পাড়ার মৃত সৈয়ত আলীর ছেলে।
আরো জানা গেছে, তার মৃত্যুর সংবাদে আত্মীয়-স্বজন, এমনকি এলাকাবাসীরাও আসেননি। পরে সারা রাত লাশ নিয়ে বসে থাকেন অসহায় স্ত্রী ও সন্তানরা। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারের উদ্যোগে লাশের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে লিটন সরকার বলেন, ‘একজন মানুষের মৃত্যুর পর লাশ দাফনে তার আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে আসবে না এটা খুবই দুঃখজনক। করোনার রেড জোন খ্যাত দেবীদ্বারে এ সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে ১০১ জনের একটি টিম গঠন করেছেন বলেও জানান লিটন সরকার।
বাংলা/এনএস
আপনার মন্তব্য লিখুন