কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও। এবার সেই আন্দোলনে যুক্ত হলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ৫ জুন, শুক্রবার দেশটির রাজধানী অটোয়ায় ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাঁটু গেড়ে বসেন তিনি।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডো একাত্মতা জানিয়ে এই বিক্ষোভে অংশ নিবেন কিনা- এই প্রশ্নের কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএন’র অন্তর্ভুক্ত সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ জানায়, শক্রবার বিকালে নিরাপত্তা বেষ্টনিসহ পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছান জাস্টিন ট্রুডো। এ সময় তিনি কালো কাপড়ের একটি মাস্ক পড়েছিলেন।
এই বিক্ষোভে কোনো বক্তব্য দেননি ট্রুডো। তবে অন্য বক্তাদের কথা বলার সময় হাত তালি দিয়ে ও মাথা নাড়িয়ে সায় দিচ্ছিলেন। এ সময় এক বক্তা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এখানে বর্ণবাদের জন্য কোন স্থান নেই। এর এক পর্যায়ে অন্য বক্তা যখন ভালোবাসা ও ন্যায় বিচার নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ট্রুডোও ‘আমিন’ বলে চিৎকার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে বিশ্বজুড়ে পুলিশ বর্বরতা এবং বর্ণবাদ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসাবে শুক্রবার ‘নো পিস টু জাস্টিস’ বিক্ষোভটির আয়োজন করা হয়েছিল।
এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ৯ মিনিট নিরবতা পালন করেন। মিনিয়াপলিসে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন যতক্ষণ জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিলেন। অনেক বিক্ষোভকারীও ওই সময় পর্যন্ত হাঁটু গেড়ে ছিলেন। আর তাদের সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডোও যোগ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে চেক জালিয়াতির অভিযোগে, মিনিয়াপলিসে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে নৃশংস অত্যাচার করে পুলিশ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে বার বার আরজি জানালেও, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে বসে থাকেন ডেরেক শওভিন। জর্জের পিঠের ওপর চাপ দিয়ে বসে থাকেন আরো দুই পুলিশকর্মী। এতে করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জর্জ ফ্লয়েডের। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেই ভিডিও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
বাংলা/এনএস