ভারতে শিক্ষকতা করেই মাসে বেতন তুলতেন কোটি টাকা। সেই শিক্ষিকার নাম অনামিকা শুক্লা। তিনি একসঙ্গে ২৫ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এ ঘটানায় জালিয়াতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশটির উত্তরপ্রদেশে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত শনিবার ইস্তফাপত্র জমা দিতে কর্মকর্তা অঞ্জলি আগরওয়ালের অফিসে যান অনামিকা শুক্লা। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত এই শিক্ষিকার দাবি, তিনি এক লক্ষ টাকা দিয়ে এই চাকরিটি পেয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তবে তারা জানান, এই ঘটনার তদন্ত চলছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির কস্তরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা। একইসঙ্গে আম্বেদকর নগর, বাঘপত, আলিগড়, সাহারানপুর ও প্রয়াগরাজের মোট ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। প্রদেশটির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিজিটাল তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে গিয়ে এই বিষয়টি সামনে আসে।
দেখা গেছে, ২৫টি স্কুলে একজন মহিলা শিক্ষকতা করছেন। একই তথ্য ২৫টি স্কুলের নিজস্ব তথ্য ভাণ্ডারে রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৩ মাস বিভিন্ন স্কুল থেকে মোট এক কোটি টাকা বেতন তুলেছেন ওই শিক্ষিকা। মার্চ মাসে ঘটনাটি সামনে আসতেই বেতন আটকে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অনলাইনে হাজিরা দিতে হয়। স্কুলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তবেই এই হাজিরা দেয়া যায়। কিন্তু কীভাবে টানা কয়েক বছর এই জালিয়তি করা সম্ভব হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের স্কুলশিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা বিজয় কিরণ আনন্দ জানান, কীভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলো, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। তবে লকডাউন চলায় তদন্তের গতিতে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলা/এনএস