কামরুল ইসলাম হৃদয় নামে ‘ভুয়া ব্যারিস্টার’ এর বিরুদ্ধে ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এজাহার দায়ের করেছন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি আদালত অঙ্গনে টাউট, দালাল, দুর্নীতি নির্মূল আন্দোলনের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৯ জুন, মঙ্গলবার এজাহার দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ফরহাদ উদ্দিন।
এ বিষয়ে ফরহাদ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, আমি ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে ৮ জুন, সোমবার ই-মেইলে এজাহার পাঠিয়েছি যাতে শাহবাগ থানাকে এটা গ্রহণ করতে বলা হয়। এতে উল্লেখ করেছি, কামরুল ইসলাম কোনো আইনজীবী নন এবং ব্যারিস্টারও নন। অনেক দিন ধরেই ভুয়া ব্যারিস্টার এবং বিভিন্ন পদ-পদবী দাবী করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
তিনি আরো জানান, ব্যারিস্টার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং আরো বিজ্ঞ আইনজীবী এই কামরুল ইসলাম হৃদয়ের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। তিনি ব্যারিস্টার কিনা সেটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউকে বার কাউন্সিল এবং লিংকনস ইনে ই-মেইল করা হয়। ই-মেইল এর জবাবে ইউকে বার কাউন্সিলের রেকর্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট এলেক্স পেইন্টার নিশ্চিত করেন, ১৯৬০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কামরুল ইসলাম হৃদয় নামে কোন ব্যারিস্টার ইউকে বার কাউন্সিলের রেকর্ডে নেই।
তিনি আরো বলেন, ব্যারিস্টার পদবী দিয়ে প্রতারণার বিষয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভুয়া ব্যারিস্টার নামে একটা নিউজ আসে, সেখানে আমার মন্তব্য প্রকাশিত হয়। এরপরে গত ০৬-০৬-২০২০ তারিখ রাত ১০ টায় ওই প্রতারক ওনার ইমো থেকে মেসেজ দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে। এমনকি আমাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। আমি সমস্ত মেসেজের স্ক্রিনশট নিয়ে এজাহারের সাথে যুক্ত করেছি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন স্যারের পরামর্শে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ২৩,২৪,২৫,২৯ এবং পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪৯৯,ও ৫০৬ ধারায় মামলা করেছেন বলেও জানান ফরহাদ উদ্দিন ভূঁইয়া।
বাংলা/এনএস