উপসর্গহীন রোগীদের থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে বিরল হিসেবে যে বক্তব্য দিয়েছিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), একদিন পরই সে বক্তব্য থেকে সরে এসেছে তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে, উপসর্গহীন রোগীদের থেকে ৪০ শতাংশ হারে করোনা ছড়াতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো অনেক কিছুই এখনো অজানা বলে বলেও জানায় তারা।
গতকাল ৯ জুন, মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে নতুন ডব্লিউএইচও’র ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরকোভ এই তথ্য জানান বলে খবর দিয়েছে সিএনএন।
ভন কেরকোভ বলেন, ‘অধিকাংশ সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে লক্ষণযুক্ত মানুষের কাছ থেকে ছড়াচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে ছড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে।’
সত্যিকার অর্থে কতজন মানুষের লক্ষণ নেই তা অনুধাবন করতে তাদের কাছে এখনো সঠিক উত্তর নেই বলেও উল্লেখ করে তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে কিছু মানুষ উপসর্গহীন বা কিছু মানুষের লক্ষণ না থাকলেও তারা ভাইরাস ছড়াতে পারেন।’
ফলে জনসংখ্যার কতজন মানুষের উপসর্গ নেই এবং এদের কতজন দ্বারা অপর মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তা পৃথকভাবে ভালোভাবে জানতে হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার মারিয়া ভন কেরখভ বলেছিলেন, ‘যারা করোনা পজিটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই এ ধরনের অ্যাসিম্পটমেটিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় না। আর যদি ছড়ায় তবে তা বিরল ঘটনা।’
আগের এই মন্তব্যের বিষয়ে কেরকোভ বলেন, ‘সোমবার প্রেস কনফারেন্সে আমি অল্প দুই বা তিনটি গবেষণার কথা বলেছিলাম। এগুলো উপসর্গহীন আক্রান্তদের গবেষণা করা হচ্ছে। এটি গবেষণার খুব ছোট অংশ। ফলে আমি প্রেস কনফারেন্সে একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলাম।’
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোন নীতি বা এমন কিছু জানাচ্ছিলেন না উল্লেখ করে আরো বলেন, ‘কারণ এই বিষয়ে এখনো অনেক অজানা রয়েছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আগেই জানিয়েছে, উপসর্গহীন রোগীদের থেকে করোনা ছড়াতেই পারে, তবে সেটা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মুখ্য কারণ নয়। মূলত উপসর্গযুক্ত রোগীদের থেকেই ভাইরাস ছড়াচ্ছে বেশি বলেও জানায় তারা।
বাংলা/এসএ/