যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস আক্রান্তের মোট সংখ্যা গতকালই ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বর্ণবাদ বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
রয়টার্সের এক বিশ্লেষণ অনুসারে পাঁচ সপ্তাহ কম থাকার পরে জাতীয়ভাবে নতুন সংক্রমণ আবার কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। কোভিড-ট্র্যাকিং প্রজেক্ট অনুসারে এই বৃদ্ধির বিষয়টা নিশ্চিত হয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে। গত ৫ জুন, একদিনে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০টি পরীক্ষা করা হয়েছে; এ যাবৎকালে যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। অবশ্য তবে পরে এ পরীক্ষার হার হ্রাস পেয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ৫০টি রাজ্য ধীরে ধীরে পুনরায় চালু হওয়ায়, লোকজন ব্যবসা এবং বিনোদন কাজ পুনরায় শুরু করার ফলেই সাম্প্রতিক এ আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তাছাড়া ২৫ শে মে মিনিয়াপলিস পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিশাল বিক্ষোভের ফলে সামনের দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়াতে পারে।
এদিকে ১২ই মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) মার্কিন সরকারদের পরামর্শ দিয়েছিলো যে পুনরায় সবকিছু খোলার আগে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার যেন পরীক্ষা করা লোকদের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ দিনের জন্য ৫% বা তার চেয়ে কম থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পজেটিভ পরীক্ষার ফলাফলের হার জাতীয়ভাবে ৪% থেকে ৭% এর মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সেই নির্দেশিকা না মেনেই সেখানে সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। যদিও কিছু রাজ্যে এর হার উক্ত হারের মাঝেই রয়েছে।
কয়েকটি রাজ্য গত সপ্তাহেও ডব্লিওএইচওয়ের বেঁধে দেয়া হারের চেয়েও বেশি ছিলো। যেমন মেরিল্যান্ড ৮%, উটাহ ৯%, নেব্রাস্কা ৯%, ভার্জিনিয়া ৯%, ম্যাসাচুসেটস ১১% এবং অ্যারিজোনা রাজ্যে এ হার ১২% ছিলো।
আর এপ্রিলে করোনা প্রাদুর্ভাবের শীর্ষ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের হার ২৫ থেকে ৫০% ছিলো।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত মোট মৃত্যু ১ লাখ ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি।