রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া রাণু মণ্ডলের সেই গ্ল্যামার আর নেই। নানা কারণে আলোচিত ও সমালোচিতও হন তিনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অভাবে-অর্ধাহারে দিন রাণুর। যেভাবে হঠাৎ করেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছান আবার ঠিক সেভাবেই অবস্থার অবনতি হলো তার।
যদিও লকডাউনের শুরুর দিকে এলাকার দুঃস্থ খাবার বিলি করতেন রাণু। কিন্তু কিছু দিন পরেই তার নিজের হাল বেহাল। বর্তমানে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারও জুটছে না তার। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
ওই খবরে বলা হয়, অভাবে-অর্ধাহারে দিন কাটছে রাণু মণ্ডলের। একবেলা ভাত খেলে অন্যবেলায় খেতে হচ্ছে শুধু মুড়ি। ধীরে ধীরে আরো খারাপ হচ্ছে অবস্থা। পাড়ার ক্লাব সাহায্য করলে জুটছে খাবার, না হলে তাও পাচ্ছেন না। এখন আর তার কাজ নেই। তাই কেউ খোঁজও নিচ্ছে না। একা ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছেন ‘তেরি মেরি’র এই গায়িকা। ঠিক যেন পুরনো দিনগুলো ফিরেছে রাণুর জীবনে।
রাণু মন্ডলের জীবন একেবারে রূপকথার মতো। রাণাঘাট স্টেশনে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন তিনি। সেখান থেকে লতার গাওয়া গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হন রাণু। এরপর সেই রাণাঘাটের স্টেশন ছেড়ে তিনি পাড়ি দেন মুম্বাই। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে গান করেন। তেরি মেরি কাহনি গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। মুহূর্তে রাণু হয়ে যান সেলিব্রিটি। কিন্তু কে জানত, সেই রঙিন জীবনও হবে ক্ষণস্থায়ী।
বাংলা/এনএস