মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ। সেই হাওয়া লাগে ক্রিকেটেও। ভারতে আইপিএল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় বর্ণবৈষম্যের শিকাড় হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি।
তাকে কালু বলে ডাকা হয়েছিলো। তবে সেটা ঘৃণাবশত নয়, ভালোবাসার জায়গা থেকেই তাকে ‘কালু’ বলা হয়। অভিযোগের জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থের কাছ থেকে এই বার্তা পান ড্যারেন স্যামি। ১১ জুন, বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান স্যামি। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই বাংলা।
ওই টুইটে স্যামি লিখেছেন, ‘প্রাক্তন সতীর্থের সঙ্গে দারুন একটা আলোচনা হল আমাদের। নেতিবাচক বিষয়ের কথা চিন্তা না করে পজিটিভ থাকার শিক্ষা পাচ্ছি। আমার ভাই আমাকে বললো, ভালোবেসেই এই কথা বলেছে। ওকে আমি বিশ্বাস করি।’
এর আগে সানরাইজার্স’র বিরুদ্ধে ইনস্টাগ্রামে ‘নলেজ ইস পাওয়ার’ নামে একটি ভিডিও পোস্ট করে স্যামি বলেন, ‘সম্প্রতি এমন একটা শব্দের মানে জানলাম যার অর্থ সম্পর্কে আগে অবহিত ছিলাম না। আমি প্রকাশ্যে তাদের নাম বলার আগে চাই তারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে বলুক যে এই শব্দের অন্য অর্থ রয়েছে। আমাকে যখন এই নামে ডাকা হয়েছে, পুরোটাই ভালোবেসে করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘তার বেশ কিছু আইপিএল টিমমেট তাকে ‘কালু’ বলে ডাকতেন। অনেকেই আবার সেই সম্ভোধন শুনে হাসাহাসি করতো।’
স্যামি আরো বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট খেলেছি। প্রত্যেক ড্রেসিংরুমেই আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমি হাসান মিনহাজের শো’তে জানতে পারি কীভাবে ওর সংস্কৃতিতে কালো মানুষদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়।’
এই অভিযোগের পরেই ইশান্ত শর্মার একটি ইন্সটা-পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের সানরাইজার্স’র চার ক্রিকেটারকে- ড্যারেন স্যামি, ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার এবং ডেল স্টেইন। সেই বছরের ১৪ মে’র ওই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন তিনি। এর ক্যাপশনে লেখা, ‘আমি, ভুবি, কালু এবং গান রাইজার্স।’ এরপর থেকে প্রচণ্ড সমালোচিত হন ইশান্ত।
এদিকে স্যামির বর্ণবিদ্বেষী অভিযোগের পরে সতীর্থের পাশে দাঁড়ান ক্রিস গেইল, ড্যারেন ব্রাভোরাও। সেই বিতর্ক মেটার ইঙ্গিত দিয়েই যেন এদিনের এই পোস্ট।
বাংলা/এনএস